চট্টগ্রাম ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিঃ
দৈনিক সারাদেশ ৭১  নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমান দেশের প্রথম সারির অনলাইন পোর্টাল পত্রিকার জন্য সংবাদদাতা আবশ্যক, বিশেষ সংবাদদাতা (৪),  ক্রাইম রিপোর্টার (৫), স্টাফ রিপোর্টার (১০), বিভাগীয় ব্যুরো (৬) উপজেলা প্রতিনিধি (১০), বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি (৫),  মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার (সকল জেলা ও উপজেলার জন্য) (১০) ইউনিয়ন প্রতিনিধি (৫)  আবেদনের জন্য সিভি, জাতীয় পরিচয় পত্র, আবেদন পাঠাবেন news@saradesh71.com এই মেইলে।
সংবাদ শিরোনামঃ
কালিয়াকৈরে মৎস্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে অভিযান, জব্দ নিষিদ্ধ জাল ও ইলেকট্রিক যন্ত্র চকরিয়ায় র‍্যাব-১৫ এর উদ্যোগে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সচেতনতামূলক সভা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা হরিরামপুরে বলড়া মোড়ের রাস্তায় বেহাল দশা: বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি, নেই কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটে পাহাড়জুড়ে উত্তেজনা, যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চলছে চট্টগ্রামে জমিদারের হামলায় ভাড়াটিয়ার মৃত্যু, প্রধান আসামি মোবারক গ্রেফতার ভোলাহাটে ভার্কের সমৃদ্ধি কর্মসূচীর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২৫ উদযাপন বগুড়ার গাবতলী থানা মোড়ে যানজট নিরসনে নতুন সিএনজি স্ট্যান্ড উদ্বোধন কুমিল্লা সীমান্তে ১০-বিজিবির অভিযানে ৬০ লাখ টাকার ভারতীয় মোবাইল ফোন ও ডিসপ্লে উদ্ধার পটিয়া ভূমি অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান: ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক ১ জন কোটালীপাড়ায় দুই মাদকসেবী আটক, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জকে ঘিরে আবুল কাশেম গংয়ের সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট, শহরবাসীর উদ্বেগ

চট্টগ্রামে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া ফ্যাসিস্ট দোসরদের

মোছাঃনাসরিন আক্তার রিমি (স্টাফ রিপোর্টার)
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার  | মোছাঃ নাসরিন আক্তার রিমি

চট্টগ্রামে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক অস্থিরতার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। নগরীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ থেকে শুরু করে কর্ণফুলী ব্রিজ, টেরিবাজার, লালদিঘী, কোতোয়ালী, বন্দর, ইপিজেড ও চকবাজার এলাকায় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কার্যক্রম জোরদার হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে বহুল আলোচিত আবুল কাশেম ওরফে “পিয়াজ কাশেম”। তার সঙ্গে আছেন যুবলীগ নেতা আবু তাহের ও সাদ্দাম। তারা মিলে তৈরি করেছেন সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক, যার উদ্দেশ্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা।

২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গুলিবর্ষণের ঘটনাতেও এ চক্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল। একই সময়ে নিহত হন এডভোকেট আলিফ, যার হত্যাকাণ্ডের পেছনেও এদের অর্থ ও লজিস্টিক সহযোগিতা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র অনুযায়ী, আবুল কাশেম দীর্ঘদিন ধরে সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক অর্থায়ন থেকে শুরু করে ক্যাডার পুনর্বাসন ও গোপন মিটিং আয়োজন পর্যন্ত তার নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে।

এছাড়া চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের অন্তত পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এ চক্র সন্ত্রাসীদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এর মধ্যে রয়েছে মেসার্স মক্কা বাণিজ্যলয়, মেসার্স আবুল কাসেম এন্ড সঙ্গ, মেসার্স চিটাগাং স্টোর, আল মুনিরিয়া ট্রেডার্স, এবং মদিনা ট্রেডিং। এমনকি পটিয়ার ফোরকানিয়া মাদ্রাসার পাশে অবস্থিত কাশেমের নিজ বাড়িও এখন ‘সেফ হাউজ’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

৩০ আগস্ট ২০২৪ সালে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক মন্ত্রী নওফেলসহ একাধিক প্রভাবশালী নেতার নামও উঠে এসেছে। তাদের সঙ্গে আবুল কাশেম গংয়ের সম্পর্ক অস্বীকার করার সুযোগ নেই বলেও জানা গেছে।

চট্টগ্রামের রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও চক্রান্তের এই প্রবণতা কোথায় গিয়ে থামবে—এ প্রশ্ন এখন শহরবাসীর মুখে মুখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জকে ঘিরে আবুল কাশেম গংয়ের সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট, শহরবাসীর উদ্বেগ

চট্টগ্রামে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া ফ্যাসিস্ট দোসরদের

আপডেট সময় : ০৮:০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার  | মোছাঃ নাসরিন আক্তার রিমি

চট্টগ্রামে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক অস্থিরতার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। নগরীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ থেকে শুরু করে কর্ণফুলী ব্রিজ, টেরিবাজার, লালদিঘী, কোতোয়ালী, বন্দর, ইপিজেড ও চকবাজার এলাকায় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কার্যক্রম জোরদার হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে বহুল আলোচিত আবুল কাশেম ওরফে “পিয়াজ কাশেম”। তার সঙ্গে আছেন যুবলীগ নেতা আবু তাহের ও সাদ্দাম। তারা মিলে তৈরি করেছেন সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক, যার উদ্দেশ্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা।

২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গুলিবর্ষণের ঘটনাতেও এ চক্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল। একই সময়ে নিহত হন এডভোকেট আলিফ, যার হত্যাকাণ্ডের পেছনেও এদের অর্থ ও লজিস্টিক সহযোগিতা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র অনুযায়ী, আবুল কাশেম দীর্ঘদিন ধরে সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক অর্থায়ন থেকে শুরু করে ক্যাডার পুনর্বাসন ও গোপন মিটিং আয়োজন পর্যন্ত তার নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে।

এছাড়া চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের অন্তত পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এ চক্র সন্ত্রাসীদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এর মধ্যে রয়েছে মেসার্স মক্কা বাণিজ্যলয়, মেসার্স আবুল কাসেম এন্ড সঙ্গ, মেসার্স চিটাগাং স্টোর, আল মুনিরিয়া ট্রেডার্স, এবং মদিনা ট্রেডিং। এমনকি পটিয়ার ফোরকানিয়া মাদ্রাসার পাশে অবস্থিত কাশেমের নিজ বাড়িও এখন ‘সেফ হাউজ’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

৩০ আগস্ট ২০২৪ সালে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক মন্ত্রী নওফেলসহ একাধিক প্রভাবশালী নেতার নামও উঠে এসেছে। তাদের সঙ্গে আবুল কাশেম গংয়ের সম্পর্ক অস্বীকার করার সুযোগ নেই বলেও জানা গেছে।

চট্টগ্রামের রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও চক্রান্তের এই প্রবণতা কোথায় গিয়ে থামবে—এ প্রশ্ন এখন শহরবাসীর মুখে মুখে।