দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে কুড়িগ্রামের শত শত পরিবার
কুড়িগ্রাম যাত্রাপুরে দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙনে নিঃস্ব শত শত পরিবার

- আপডেট সময় : ১০:২৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে দুধকুমর, তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমির মৌসুমি ফসল।
একইসঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে ১০টি পয়েন্টে তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙনের কবলে তলিয়ে গেছে বহু গ্রামীণ সড়ক, ভেঙে গেছে বসতবাড়ি, ভিটেমাটি।
রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত থেকে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া, চড় যাত্রাপুর ও গারুহাড়া এলাকায় দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙনে প্রায় ৭০টি পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে। বর্তমানে আরও শতাধিক পরিবার রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছরের পর বছর ধরে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আসছেন তারা। একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে অভিযোগ জানালেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। ফলে অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
চড় বানিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছামছুল আলম বলেন,
> “একদিনেই দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে আমাদের গ্রামের প্রায় ৭০টি পরিবার হারিয়েছে বসতবাড়ি। যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, পুরো এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।”
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান,
> “উজানের ঢলে রবিবার রাত থেকে দুধকুমর ও ধরলার বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী দুই দিন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।”
নদী ভাঙনের আতঙ্কে যাত্রাপুরের শত শত পরিবার এখন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।