বোয়ালমারীতে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চলছে শামুক কুড়ানোর কর্মযজ্ঞ, খুলনায় বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি ঘেরে ব্যবহারের জন্য
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সূর্য ওঠার আগেই শামুক কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে স্বল্প আয়ের মানুষ

- আপডেট সময় : ০৪:২৮:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে

বোয়ালমারী (ফরিদপুর)
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বিলাঞ্চলে প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই জীবিকার সন্ধানে নৌকা নিয়ে পানিতে নামেন শত শত স্বল্প আয়ের মানুষ। তাঁদের মূল লক্ষ্য শামুক কুড়িয়ে সংসারের চাকা সচল রাখা।
স্থানীয়রা জানান, রাতের শেষ প্রহরে শামুক সহজে ধরা যায়। সূর্য ওঠার পর তীব্র রোদে শামুক পানির নিচে চলে যাওয়ায় তখন আর ধরা সম্ভব হয় না। এ কারণে তারা ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শামুক সংগ্রহ করেন।
শেখর ও পরমেশ্বদী ইউনিয়নের শামুক সংগ্রাহক আকাশ মোল্যা (৩০), ইলিয়াস শেখ (৪০)সহ কয়েকজন বলেন, প্রতিদিন শামুক বিক্রি করে কেউ ৭০০ টাকা, কেউ ৮০০ টাকা আবার কেউ কেউ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। সংগৃহীত শামুক চাপখন্ড ব্রিজ, বাইরকান্দি সহ বিভিন্ন স্থানে আনা হয়, যেখানে বেপারীরা অপেক্ষা করেন।
পরমেশ্বদী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী রাব্বি শেখ (২৮) জানান, প্রতিদিন স্থানীয়দের কাছ থেকে বাঁশের ঝুড়িতে শামুক কিনে বস্তায় ভরে সেলাই করে বিকেলে ট্রাকে লোড দিয়ে খুলনা-বাগেরহাট অঞ্চলে পাঠানো হয়। খুলনার বটতলা বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শামুক আসে। মূলত চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ীরাই bulk পরিমাণে শামুক কিনে থাকেন।
স্থানীয়দের মতে, বর্ষা মৌসুমে বিলের পানিতে নৌকা চলা পর্যন্ত শামুক ব্যবসা চলে। এই মৌসুমেই হাজারো পরিবারের জীবিকা চলে শামুকের আয়ে।
এভাবে শামুক শুধু বিলের পানিতে জন্মায় না, বরং অসংখ্য দরিদ্র পরিবারের সংসার চালানোর অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।